
মাল্টিটাস্কিং এর ক্ষেত্রেও ঠিক রাখা সম্ভব কর্মদক্ষতা
“Multitasking” শব্দটি “কম্পিউটার মাল্টিটাস্কিং” থেকে এসেছে। এটি একটি কম্পিউটারের একই সময়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতাকে বোঝায়। তাই মানুষের ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং বলতে, একজন মানুষের একই সময়ে একাধিক কাজ করার ক্ষমতাকে বোঝায়। আমরা প্রায়ই নিজেদের উপলব্ধি ছাড়া একাধিক কাজ একসাথে করে থাকি। যেমন টিভি দেখার সাথে সাথে আপনার বন্ধুর সাথে চ্যাট করা, কাজ করা বা হাটার সময় গান শোনা বা কারো সাথে কথা বলার সময় হাঁটা ইত্যাদি। আপনি যদি সঠিকভাবে এবং দক্ষতার সাথে আপনার কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে এটি আপনার মস্তিষ্কের জন্য অনেক ভালো অনুশীলন হিসেবে কাজ করবে।

অফিসের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ফাইল দেখছেন, হঠাৎ করেই আপনার ফোনটা বেজে উঠল বেরসিক সুরে। ফোন হাতে নিয়ে দেখলেন, কলটা না ধরলেই নয়, তাই কলটা রিসিভ করলেন। ফাইলও দেখছেন, ফোনেও কথা চলছে। একসময় আপনি নিজেই অনুভব করতে শুরু করলেন, ফাইল হাতে নিয়ে বসে থাকাই সার- ফাইলের কাজও হচ্ছে না, অন্যদিকে ফাইলের টেনশনে ফোনে কথাটাও ঠিক প্রাণখুলে বলতে পারছেন না। মনে হচ্ছে, কত কাজ করছেন, আদতে কোনোটাই ঠিকমতো হচ্ছে না।
Multitasking এ পারদর্শী হওয়ার উপায়
কিছু কৌশল অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজেই Multitasker হয়ে উঠতে পারবেন। এমনই কিছু কৌশল আলোচনা করা হবে এই লেখাতে।
সারাদিনের কর্ম পরিকল্পনা বা To-Do List তৈরী করুন
প্রতিদিনের শেষে পরবর্তি দিনে কি কি কাজ করবেন তার একটি তালিকা তৈরী করুন। সেগুলোর মধ্যে কোন গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন গুলো কম গুরুত্বপূর্ণ তা নির্ধারন করুন।
সময় ভাগ করে কাজ করুন
আপনি যখন খুব সহজেই আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং একই ধরনের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলতে পারবেন তখন আপনার সময় ভাগ করে নিন কখন কোন কাজটি করবেন।

Distraction এড়িয়ে চলুন
কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ ধরে রাখা খুব জরুরি। সব সময় চেষ্টা করুন কাজ করার সময় আপনার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে এমন বিষয় এড়িয়ে চলতে।
অনুশীলন করুন
আপনি যেকোন কাজই করুন না কেন সেই কাজে আপনি যদি দক্ষ হতে চান বা কম সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে চান তাহলে অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই।
সময়ানুবর্তিতা মেনে চলুন
চেষ্টা করুন নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজগুলো সম্পাদন করতে। আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখবেন না।