
জেনে নিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুলস
১. এভারনোট (Evernote)
সহকর্মীদের নোট সংরক্ষণে এভারনোট চমৎকার ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে সবার নোট একসাথে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে এই প্লাটফর্মে প্রবেশ করে সবার নোটের সাথেই আপডেট থাকা যায়।
২. গুগল ড্রাইভ (Google Drive)
ইন্টারনেট চালান কিন্তু গুগল ড্রাইভের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এটি একটি বহুল ব্যবহৃত ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে দরকার মতো ফাইল কিংবা ছবি বিনিময় করা যায়। যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে এখান থেকে কন্টেন্ট আপলোড কিংবা ডাউনলোড করতে পারে।
৩. স্ল্যাক (Slack)
রিয়েল–টাইম মেসেজ আদান–প্রদানের ক্ষেত্রে স্ল্যাক একটি অসাধারণ টুল। বিভিন্ন চ্যানেলে কাজ অনুযায়ী যোগাযোগের সুবিধা থাকায় কাজ থেকে অন্যদিকে মন সরে যাবার সম্ভাবনাও কম। ফলে ঘরে বসে যারা কাজ করেন তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি টুল এই স্ল্যাক।
৪. টোগল (Toggl)
কর্মক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা পরিমাপের একটি দুর্দান্ত টাইম ট্র্যাকার টোগল। অফিসের প্রতিটি মুহুর্ত আপনি কীভাবে ব্যয় করছেন, তার সব হিসাব রাখে এটি। আরও চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে, এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
৫. জয়েন.মি (Join.me)
এবার আর কোনো অ্যাপের কারসাজি নয়। জয়েন.মি পুরোপুরিই ইন্টারনেটভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্ম। ‘হোয়াইটবোর্ডিং‘ নামের অসাধারণ একটি ফিচার একে করে তুলেছে অনন্য। এর মাধ্যমে কথোপকথন চলার সময়েই ফাইল আদানপ্রদান করা যায়। কোনো এজেন্ডা নির্ধারণের চিন্তা অন্যদের সাথে শেয়ারে জয়েন.মি দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করে।
৬. জুম (Zoom)
বড় অনলাইন মিটিং, ওয়েবিনারের জন্য জুম একটি ভালো অ্যাপ্লিকেশন।কয়েক ডজনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী নিয়ে এই ভিডিও চ্যাট অ্যাপটি বেশ সুন্দরভাবে কাজ করে। এমনকি বিশেষ ফিচার ব্যবহার করে ৫০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী নিয়ে মিটিং করা যায় এর মাধ্যমে।
৭. মিটিং আউল ( Meeting Owl)
ঘরে বসে কাজের জন্য ভিডিও কনফারেন্স অপরিহার্য। আর এজন্য সবচেয়ে ভালো ক্যামেরাগুলোর একটি মিটিং আউল।এটি একটি ৩৬০ ডিগ্রি কোনে ঘুরতে পারা ক্যামেরা। এখানে যিনি কথা বলছেন তার দিকে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোকাস করে থাকে। আটটি মাইক্রোফোনের মাধ্যমে এটি শব্দ সংগ্রহ করে। ফলে অপরপ্রান্তে একদম অপরিবর্তিত অবস্থায় শব্দ শোনা যায়। তাই ভিডিও কনফারেন্সের ক্যামেরার ক্ষেত্রে মিটিং আউল হতে পারে একটি চমৎকার টুল।
৮. স্প্ল্যাশটপ (SplashTop)
টিমভিউয়ারের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী এই স্প্ল্যাশটপ। এই টুলটিও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য একদম ফ্রি! তবে আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু হালকা চার্জ রয়েছে বটে। তবে, ছোট ফাইল শেয়ারের সুবিধার জন্য এর সুখ্যাতি অনেক।
৯. টিমভিউয়ার (TEAMVIEWER)
‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম‘ এর সাথে জড়িত সবাই মোটামুটি ‘টিমভিউয়ার‘ সম্পর্কে পরিচিত।অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ কিংবা লিনাক্সসহ সকল ধরনের প্লাটফর্মে চলার উপযোগী করেই এটি বানানো হয়েছে। ফাইল, ক্লিপবোর্ড এবং পোর্ট ট্রান্সফারের মতো সুবিধা থাকায় দূরে বসে অফিসের কাজ করা যেকারো প্রথম পছন্দ এই সফটওয়্যারটি। সবচেয়ে বড় কথা হলো- ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এই টুলটি একদম ফ্রি!
প্রযুক্তির বলে মানুষ অফিসকেও ঘরের মধ্যে নিয়ে এসেছে, যাকে আমরা বলছি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম ‘। তবে এটি স্বয়ংক্রিয় কোনো ব্যবস্থা নয়। মানুষের দক্ষতা ও কার্যকরী টুলগুলোই পারে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম‘ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায় করতে পারে। এজন্য যেমন প্রয়োজনীয় পরামর্শের দরকার রয়েছে, তেমনই প্রয়োজন কার্যকর টুলস। তাই উপরের পরামর্শ ও টুলসগুলো হতে পারে আপনার জন্য বেশ কাজের।