জেনেনিন কি ভাবে নিজের ব্যক্তিত্বকে অন্যের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলবেন

জেনেনিন কি ভাবে নিজের ব্যক্তিত্বকে অন্যের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলবেন

আমরা অনেক সময় এমন অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় যখন ইচ্ছে হয় সামনে বসা লোকটির সাথে গল্প করি কিন্তু জড়তার কারণে অগত্যা নিরবতা পালন করতে হয়। আমরা বুঝতে পারিনা ঠিক কিভাবে কথোপকথন শুরু করতে হবে। কোন প্রশ্ন গুলো করা উচিত আর কোনগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
বর্তমান সময়ে সকলকেই কোন না কোন ভাবে তার চারপাশের লোকজনের সাথে সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখতে হয়। ভুল কোন আলোচনার বিষয় বা প্রশ্ন বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি এমন কিছু টিপস নিয়ে সাজানো হয়েছে যা আপনাকে সাহায্য করবে আপনার সামনে বা পাশে বসে থাকা মানুষটির সাথে নির্বিঘ্নে আলাপ-চারিতা চালিয়ে যেতে যেন তার কাছে আপনার “পার্সোনালিটি আরো সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত হয়।


চারপাশের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করুনঃ


এটি এমন একটি কৌশল যা বহু পরিস্থিতিতে কার্যকর। কথোপকথন শুরু করার আগে আপনার পরিবেশটি ভালোকরে পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার সামনের মানুষটি ঠিক কিছু বিষয়ে কথা বলতে চাইছেন বা কোন বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছেন সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনার সামনে অবস্থানরত ব্যক্তিটির হাতে একটি বই বা এক কাপ কফি রয়েছে। আপনি তার সাথে এভাবে কথোপকথন শুরু করতে পারেন, ” চমৎকার একটি বই, আপনি কি এ লেখকের অন্য বই গুলো পড়েছেন বা এই রেস্টুরেন্টের চিকেন ফ্রাই আমি ভীষণ পছন্দ করি, আপনি কি পছন্দ করেন? “


মনোযোগ প্রদর্শন করুনঃ

এমন নয় যে শুধু আপনি সব কথা বলে যাবেন বা আপনি শুধু শুনে যাবেন । তাকেও বলার সুযোগ দিন। তখন দেখা যাবে উভয়ই নিজেদের শহর, পরিবার বা নিজের পছন্দের কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দ্বিধাবোধ করছেনা। তাকে বোঝান যে, আপনি তার কথাগুলো যথেষ্ট মনোযোগ সহকারে শুনছেন। দুজনেই একই শহরের বাসিন্দা হোন তবে তো আর কথায় নেই। যদি ভিন্ন এলাকার হয়ে থাকেন, তবে সে স্থানের সংস্কৃতি, খাবার সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন।
বর্তমানে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোকে যোগাযোগের রাখার সহজ উপায় বলে বিবেচনা করা হয়। ভুল কোন মন্তব্য অনেক সময় বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই কিছু বলার আগে ভাবুন।
” আপনার আজকের দিনটি কেমন কাটলো? “ চেষ্টা করবেন জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনা না করে এই ধরনের সাধারণ প্রশ্ন দিয়ে আলাপচারিতা শুরু করতে।

মজাদার কোন বিষয় নিয়ে গল্প করুনঃ

“হাসতে” ভালোবাসেনা এমন লোক পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আপনি যদি নিজে হাসতে বা অপরকে হাসাতে ভালোবাসেন তবে এই গুণটির ব্যবহার করুন। আবার অন্যকে হাসাতে গিয়ে এমন কিছু বলে বসবেন না যার ফলে কেউ আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নেতিবাচক কোন মন্তব্য করার সুযোগ পায়।


সময়ের আলোচিত কোন ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করুনঃ

সম্প্রতি আলোচিত হয়েছে তেমন কোন গান, মুভি, ডান্স স্টাইল বা খাবার সম্পর্কে আপনার সামনে অবস্থানরত ব্যক্তিটির মতামত জিজ্ঞাসা করুন। বেশিরভাগ মানুষ তাদের চারপাশে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ভাইরাল ইভেন্ট সম্পর্কে মতামত পোষণ করতে পছন্দ করেন।


ছোট-খাটো সাহায্য চাওয়াঃ

অন্য কেউ থাকে গুরুত্ব প্রদান করছে, এই জিনিসটি প্রতিটি মানুষ উপভোগ করে। ছোট কোন সাহায্য চাওয়া অন্য লোকটিকে এটি বিশ্বাস করায় যে, তার জন্য আপনার মনে।একটি সম্মানজনক অবস্থান রয়েছে। এটি অন্যের সাথে যোগাযোগের সহজ একটি মাধ্যম। উদাহরণস্বরূপ, “আপনি যদি কিছু মনে না করেন তবে দয়া করে আমাকে আপনার পাশে রাখা বইটি একটু দিতে পারবেন?” বা “আমি কি কিছু সময়ের জন্য আপনার কলমটি ধার নিতে পারি?”


কথোপকথন শুরু করতে স্মার্ট, মজাদার বা আকর্ষণীয় কোন বিষয়বস্তু টেনে নিয়ে আসা সবসময় সহজ হয়না। তবে সবসময় চেষ্টা করবেন অন্যের প্রতি আন্তরিক থাকতে। আপনি যদি কারো সাথে পরিচিত হোন তবে আগে বোঝার চেষ্টা করুন তারা পরবর্তীতে যোগাযোগ রাখার ব্যাপারে আগ্রহী কিনা। যদি উত্তর পসিটিভ হয় তবে ফোন নাম্বার বা সোসাল মিডিয়ার লিংক সংগ্রহে রাখতে পারেন। অনেক সময় হঠাৎ কোন পরিচয় নতুন কোন সম্পর্কের সূচনা করতে পারে। তাই, নিজের মধ্যকার জড়তা ভাঙ্গুন, নিজের ব্যক্তিত্বকে অন্যের কাছে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করুন


সুত্রঃ রকমারি ব্লগ