
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার কথন: নাজমুল হুদা
মূল কথা হল এরকম একটা মনোরম ক্যাম্পাসের আরামদায়ক জীবন ছেড়ে যখন বাস্তবতার ক্যানভাসে শিক্ষার্থীরা পা দেয় তখন অনেকেই স্লিপ কেটে ছিটকে পড়ে। ভারসাম্য রাখতে পারেনা। জীবনের ভার সামলাতে পারেনা। হিমশিম খায়। তখন হয়ত ভাবতে থাকে 'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম'। এজন্য সময় থাকেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কাজে লাগাতে হবে। কাজে লাগানো মানে এই নয় যে হুড়মুড়িয়ে পড়াশোনা করা। বরং মনে যা চায় তাই করা। আর যা করা তা থেকেই শেখা। ক্যাম্পাসে আসতে যেতে ঘুরতে ফিরতে শেখার আছে অনেক কিছু। এগুলো কাজে আসে ক্যারিয়ারে। আড্ডায়ও উঠে আসে অনেক কিছু। যে গাছ তলায় বসে আমরা চার পাচ বছর ধরে সারাদিন গল্প করে কাটায় হয়ত সে গাছটির নামও জানা হয়না। সায়েন্টিফিক নামত পরের কথা! যে হলে এতটা বছর কাটায় সেই হল টা বিশিষ্ট কোন ব্যক্তির নামে থাকলে ও তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা। কিংবা যে পথে এতটা দিন আসা যাওয়া সেই পথের ধারের অসংখ্য অফিস, স্থাপনা, পোস্টার, ব্যানার ভালভাবে দেখিনা। এমনকি ক্যাম্পাসের মনুমেন্ট টায় ভালভাবে খেয়াল করিনা। অথচ পাশ করে আবার এসব মুখস্থ করা শুরু করি। রাতদিন চাকরি র বই গিলে খাই। তাই কিন্তু অবসর ফুরফুরে পরিবেশ পেয়ে গা না ভাসিয়ে একটু সচেতন হয়। বেলা শেষের আগে জেগে রয়...ব্যাস.