করোনার দীর্ঘ ছুটির পরে ছুটির দিনের অর্থটাই আমাদের কাছে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আগে শুক্রবার মানেই একটা ছুটি ছুটি আমেজ ছিল। দুপুরে পেট ভরে খাওয়া, লং ড্রাইভ বা বন্ধু, প্রিয়জনদের সাথে আড্ডা হতো। কিন্তু এখন পেট ভরে দুপুরে খাওয়া হলেও বাইরে আড্ডা দেয়াটা ঝুঁকির। তাই জেনে নিন ৮টি উপায় এই সময়ে কিভাবে পরের ৬ দিনের জন্য নিজেকে রেডি করবেন।
১) একটি ছুটির দিন। সেদিন পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটান। এর বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, যাদের সঙ্গে কাজের চাপে দেখাই হয় না তাদের সাথে একটু আড্ডা হতে পারে। এটাই বাকি সপ্তাহের জন্য অক্সিজেন যোগাবে।
২) ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব ছাড়া বাঁচতেই পারবেন না ভাবছেন? কিন্তু একবার চেষ্টা করে দেখুন। দিনের শেষে মনে হবে এমন স্বস্তি আগে কখনোও পাননি।
৩) একদিনের ছুটিতে এমনিতেই কোথাও বেড়াতে যাওয়া যায় না, তার উপর করোনা। তাহলে কি বাড়িতে বসে থাকবেন? একদমই না। বিকেলে হাঁটুন। সে বাড়ির পাশের রাস্তা হতে পারে বা নির্জন কোনও লেকের ধার ধরেও হেঁটে আসতে পারেন। দেখবেন মাথা, মন সব শান্ত হয়ে গিয়েছে।
৪) যেহেতু বাইরে যাবার অবকাশ কম, তাই বই পড়তে যারা ভালবাসেন তাঁদের বই পড়ার উপযুক্ত সময় শুক্রবার। এই দিনটি বইয়ে মুখ গুজেও কাটিয়ে দিতে পারেন। সঙ্গে মাঝে মাঝে গরম কফি হলে তো কথাই নেই। নির্ভেজাল সাহিত্যের সঙ্গে শুক্রবারের ছুটিটা মন্দ কাটবে না।
৫) যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাঁরা শুক্রবার সকালটা রাখতে পারেন শরীর ও রূপচর্চার জন্য। তার সঙ্গে বিকেলে জুড়ে দিন যে কোনও কিছু। থাকতে পারে দুপুরের ভাত ঘুমও।
৬) শুক্রবার সকালেই যাদের প্রায় সারা সপ্তাহের বাজার সেরে ফেলার অভ্যাস, তাঁরা এখন বাইরে হাটে বাজারে না গিয়ে বাসায় বসেই অনলাইনে পুরো সপ্তাহের বাজার। প্রয়োজনীয় জিনিস, বই ইত্যাদি অর্ডার করে সময়টা পুরোপুরি পরিবারের সাথে কাটাতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমার পাশাপাশি সময়ও বাঁচবে।
৭) শুক্রবার প্রতিদিনের থেকে একটু অন্যরকমভাবে কাটাতে হলে শহর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়তে হবে এরকম একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু এখন যেহেতু সেই সুযোগ থাকছে না তাই পরিবারের সবাই একসাথে বসে গল্প করুন, একসাথে বসে খেলা যায় এমন কিছু ঘরোয়া খেলার প্ল্যান করুন।
৮) অফিসের কাজের ফাঁকে সেরে ফেলতে হবে এমন কাজগুলোর তালিকা করে ফেলুন। তাতে সপ্তাহের শেষে ছুটির দিনে সব কাজ একসঙ্গে কাঁধে চেপে বসবে না। এছাড়াও পরিকল্পিত হলে অল্প সময়ে বাইরের কাজগুলো দ্রুত সেরে ফেলতে পারবেন। আর বাসায় বসে যারা অফিস করছেন, তাদের যদি পারিবারিক অন্যান্য কাজের সুষ্ঠু প্ল্যান না থাকে তাহলে বাসায় বসে কাজের ক্ষেত্রে অনেক বিষয় আসবে যেটা কাজের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাবে।
সুত্রঃ রকমারি ব্লগ